দেয়ালের যে স্থান থেকে উইপোকা বের হয়, সেখানে
১. র্কপূররে গুঁড়ার সঙ্গে লিকুইড প্যারাফনি মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে । শুকনো নিম পাতার গুঁড়ো রান্নাঘররে যেকোন স্থানে ছড়িয়ে রাখলে পোকার উপদ্রব কম হয়ে থাকে।
২. তামাক পাতাতেও কাজ হয় ভালো, কিন্তু একটা ভয়ানক রকমরে গন্ধ সৃষ্টি করে তাই গরম পানরি মিশ্রন দিয়ে উইপোকার আবাস নির্মূল করা সম্ভব হয়। উইপোকার কলোনিতে শুধু একটিই রানী থাকে যা অন্য সাধারণ উইপোকার থেকে সর্ম্পূণ আলাদা। আকারে প্রায় ১০-১২ সেন্টিমিটার। এটি প্রতিদিন র্অথাৎ প্রতি ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৮০ হাজার ডিম পাড়ে। একটি রানী উইপোকার প্রায় ৫০ বছর বাঁচে। উইপোকার সম্রাজ্যে কেন্দ্র হলো এই রানি। একে চিহ্নিত ও ধ্বংস করতে পারলে উইপোকার পুরা কলোনীই নষ্ট করা সম্ভব। আলাদাভাবে বারবার উইপোকার মারার জন্য কীটনাশক প্রয়োগের আর প্রয়োজন থাকে না। পোকামাকড় দমনে বিসাক্ত রাসায়নকি পর্দাথ ব্যবহার করলে পরবিশে দূষণ ও ব্যবহৃত রাসায়নকিরে ঝুঁকি থাকেই।
ফসলের ক্ষেত্রেঃ
৩. প্রতি কেজি বীজের সঙ্গে ১ চা-চামচ কেরসিন বা নিম তেল ভালোভাবে মিশিয়ে বপন করলে উইপোকার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৪. উইপোকার বাসা নষ্ট করে এ পোকা দিয়ে দমন করা যায়।
৫. আক্রান্ত জমিতে পানির সঙ্গে কেরসিন মিশিয়ে সেচ দিলে
- পাইরফিস ৫০ ইসি ২ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- আক্রমণ খুব বেশি হলে ফুরাডান ৫জি প্রতি হেক্টরে ১৮ কেজি হিসাবে প্রয়োগ করলে এ পোকা দমন করা যায়।